প্রতীকী ছবি।
প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আট বছরের এক শিশুকন্যা। তাকে খুন করেছিল ঝাড়খণ্ডের নিমডি থানার বাসিন্দা জিরু মাহাতো নামে এক যুবক। বছর চারেক আগেকার সেই অপরাধে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলে আদালত। বুধবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক। সেই সঙ্গে অপরাধীর ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। অনাদায়ে আরও এক বছর সাজা কাটতে হবে তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিরুর সঙ্গে কেন্দা থানার কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শশাঙ্ক মাহাতোর স্ত্রী মিলনী মাহাতোর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিষয়টি শশাঙ্ক জেনে ফেলায় বেকায়দায় পড়ে যায় জিরু। কোনও ভাবে ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না সে। অভিযোগ, প্রতিহিংসার বশে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই গভীর রাতে শশাঙ্ককে খুন করার জন্য তাঁর বাড়ির ছাদে ওত পেতে ছিল জিরু। কিন্তু শশাঙ্কর ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তাঁর মেয়ের উপর হামলা চালায় সে। দিদিমার সঙ্গে শুয়ে থাকা শশাঙ্কর মেয়ে পার্বতীর গলায় ছুরি চালিয়ে তাকে খুন করে।
খুনের পর পালানোর সময় মেয়েটির দিদিমা ও গ্রামের মানুষজন জিরুকে দেখে ফেলেন। পরে দিদিমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বাপন মণ্ডলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সরকারী আইনজীবী গৌতম চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষও তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।যদিও ওই ঘটনার আগে থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন জিরুর ‘প্রেমিকা’।