জন্মাষ্টমীতে কেন খোলা স্কুল, বিতর্ক 

মৌতোড় গ্রামের ওই স্কুলে আগে জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকত বলে দাবি করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, এ দিন কোনও কোনও পড়ুয়া উপোস রেখে স্কুলে গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

ছবি পিটিআই।

জন্মাষ্টমীতে ব্লকের অন্য স্কুল বন্ধ। কিন্তু পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামের মানদাসুন্দরী হাইস্কুল খোলা। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে এলাকায়। অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন, ছুটির দিনে কেন স্কুল খোলা থাকবে? তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত জানিয়েছেন, জন্মাষ্টমীতে স্কুল খোলা রাখা যাবে না—এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী, বছরে প্রতিটি স্কুল ৬৫ দিন বন্ধ থাকবে। তার বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে দেখতে হবে, ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ ঠিক কী ভাবে ছুটির তালিকা তৈরি করেছেন।”

Advertisement

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের বিভিন্ন পালা-পার্বণে স্থানীয় গুরুত্ব অনুযায়ী ৬৫ দিনের ছুটি ভাগ করে নেওয়া হয়। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অলকানন্দ রায় জানান, তাঁরা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ‘স্টাফ কাউন্সিল’ ও পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই সারা বছরের ছুটির তালিকা তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘জন্মাষ্টমীতে ছুটি না দেওয়া নিয়ে অভিভাবক মহলে কোনও সমস্যা তৈরি হলে পরের বছর থেকে আমরা সেই বিষয়টি খেয়ালে রেখে ভুল সংশোধন করে নেব।’’

মৌতোড় গ্রামের ওই স্কুলে আগে জন্মাষ্টমীর ছুটি থাকত বলে দাবি করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, এ দিন কোনও কোনও পড়ুয়া উপোস রেখে স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক করুণাময় চট্টোপাধ্যায়ের মতে, জন্মাষ্টমীতে ছুটি দেওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, ‘‘অন্য স্কুলে ছুটি রয়েছে। তাই শিক্ষকদের উচিত ছিল স্কুল বন্ধ রাখা।’’

Advertisement

কিন্তু ছুটির তালিকা তো স্কুলের পরিচালন সমিতি মঞ্জুর করে? করুণাময়বাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘স্কুলের স্টাফ কাউন্সিল ছুটির তালিকা তৈরি করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছিল। বিগত বছরগুলিতে জন্মাষ্টমীতে ছুটি ছিল। এ বারেও সেটা রয়েছে ধরে নিয়েই তালিকা মঞ্জুর করেছিলাম।’’ তবে ছুটির তালিকা ভাল করে দেখে নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন করুণাময়বাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement