West Bengal Panchayat Election 2023

বিজেপি কর্মী খুনে ধৃত বন্ধু, পরিচয় নিয়ে তরজা

পুলিশের দাবি, দিলীপ ও প্রদীপ বন্ধু। দু’জনে এক সঙ্গে কাজ করতেন। এ ছাড়াও দিনের অনেকটা সময় তাঁরা এক সঙ্গে কাটাতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৬
Share:

মহঃবাজারের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার প্রদীপ মাহারা কে সিউড়ি আদালতে হাজির করা হছে।শুক্রবার।

মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রামের বিজেপি কর্মী দিলীপ মাহারা খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার যে প্রতিবেশীকে আটক করেছিল পুলিশ, তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম প্রদীপ মাহারা। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, দিলীপ ও প্রদীপ বন্ধু। দু’জনে এক সঙ্গে কাজ করতেন। এ ছাড়াও দিনের অনেকটা সময় তাঁরা এক সঙ্গে কাটাতেন। শুক্রবার সকালে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে প্রদীপকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানান, নিহতের স্ত্রী ছবি মাহারা ১২ জনের নামে মহম্মদবাজার থানায় বাড়িতে হামলা করে দিলীপকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং পরের দিন দেহ উদ্ধারের অভিযোগ করেছেন।

আদালত চত্বরে প্রদীপ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তিনি দিলীপের বন্ধু হওয়ার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার আমরা এক সঙ্গে বাজার গিয়েছিলাম। তার পরে স্থানীয় কিছু বিজেপি কর্মী বাজারে এসে প্রচার করার জন্য দিলীপকে ডেকে নিয়ে চলে যায়। দিলীপের বাড়িতেও সে কথা বলেছিলাম। বৃহস্পতিবার সকালে শুনি দেহ মিলেছে।’’

Advertisement

যদিও নিহতের বড় ছেলে উৎপল মাহারার দাবি, বুধবার তাঁর বাবার সঙ্গে ঝগড়া হয় প্রদীপের। প্রদীপ তৃণমূল করেন বলেও উৎপলের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘একা ওর পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব হবে না। নিশ্চয়ই আরও অন্য কেউ জড়িত রয়েছে। আমরা চাই পুলিশ বাকিদেরও গ্রেফতার করুক।’’ নিহতের স্ত্রী ছবি, যিনি নির্দল প্রার্থীও তাঁর দাবি, ‘‘প্রদীপ তৃণমূল কর্মী। আর আমরা বিজেপি করি। বিকেলে বাজার যাবে বলে আমার স্বামীকে প্রদীপ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রদীপ ফিরে এলেও আমার স্বামী ফেরেনি। তবে, ওর একার পক্ষে আমার স্বামীকে মারা সম্ভব নয়।’’

বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত সাহার আবার দাবি, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ যাঁদের নামে এফআইআর হয়েছে, তাঁদের কাউকেই পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। তাঁরা গ্রামে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

কালীপ্রসাদের আবার দাবি, ধৃত প্রদীপ মাহারা বিজেপি কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘আমি আগেই বলেছি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই খুনকে হাতিয়ার করে এলাকার মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। মৃতদেহ নিয়েও রাজনীতি করছেন বিজেপি নেতারা। আমরা এর ধিক্কার জানাই।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এফআইআরে নাম থাকতেই পারে। কিন্তু, কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে ঘটনার সঙ্গে কিছু যোগসূত্র থাকা দরকার। এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement