—প্রতীকী ছবি।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক প্রতিবেশী প্রৌঢ়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
রবিবার সকালে বিবস্ত্র অবস্থায় বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। পড়শিদের অনুমান ছিল, ৬২ বছরের ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয়, তারা এটিকে ধর্ষণের ঘটনা বলে মনে করছে না। তবে বৃদ্ধার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে না, এটি কোনও ধর্ষণের ঘটনা। তবে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।’’ ময়নাতদন্তের সেই রিপোর্ট হাতে এলে প্রকৃত কারণ জানা যেতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার দেহ উদ্ধারের পর তাঁর মেয়ে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তরুণীর দাবি, তাঁদের গ্রামেরই বাসিন্দা বুদ্ধদেব মণ্ডল তাঁর মাকে খুন করে থাকতে পারেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুদ্ধদেবকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রৌঢ়ও খুনের কথা কবুল করেছেন। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। বৃদ্ধার মেয়ে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। বৃদ্ধা তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত চাইতেই গিয়েছিলেন প্রৌঢ়।
তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যক্তিগত আক্রোশের তত্ত্বও প্রকাশ্যে এসেছে। পড়শিদের একাংশের দাবি, ধৃত বুদ্ধদেব প্রায়ই পাড়ার মহিলাদের উত্ত্যক্ত করতেন। ওই বৃদ্ধার সঙ্গে বেশ কয়েক বার খারাপ আচরণ করেছিলেন অতীতে। তার জন্য পাড়ার লোকেরা বুদ্ধদেবকে মারধরও করেন। সেই আক্রোশ থেকেই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।