প্রতীকী ছবি।
উদ্দেশ্যহীন ভাবে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন অপরিচিত এক যুবক। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ঘিরে ধরেন এলাকার মানুষ। নানান প্রশ্ন করা হয় ওই যুবককে। কিন্তু কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে ধরে একটা পোলে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, একটি দোকান থেকে মোবাইল চুরি যাওয়ার ঘটনায় ওই যুবক জড়িত ছিলেন। পুলিশ এসে স্থানীয়দের হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে বলেই খবর।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঙ্গুরিয়ার পোস্ট অফিস পাড়ায়। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত দিন আগে এলাকার একটি দোকান থেকে মোবাইল চুরি যায়। কী ভাবে মোবাইল চুরি গেল, কে নিল, সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছিল গ্রামবাসীদের মনে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে এক যুবককে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ওই যুবক এলাকার বাসিন্দা নন। কেউ আগে তাঁকে দেখেননি। তাই তাঁকেই চোর সন্দেহে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিউড়ি থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। এই বিষয় নিয়ে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির কথা শোনা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্ত কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বার বার প্রচার করেছে পুলিশ। তার পরেও থামেনি গণপিটুনির ঘটনা। কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও আবার চোর সন্দেহে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নবান্নও।