গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মঙ্গলবারের পর বুধবারও এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০১৪ সালের টেটের উধাও হওয়া ওএমআরের খোঁজে আবারও এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সাদার্ন অ্যাভিনিউর অফিসে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দু’জন সাইবার বিশেষজ্ঞও।
মঙ্গলবার সাদার্ন অ্যাভিনিউর অফিসে টানা ৮ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআইয়ের দল। সিবিআই সূত্রে খবর, উধাও হওয়া ওএমআরগুলির কোনও প্রতিলিপি ওই অফিসে রয়েছে কি না সেটাই খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার রাতে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতর ছাড়ার সময় একটা বড় ট্যাঙ্ক নিয়ে যায় তদন্তকারী দলটি। সূত্রের খবর, একটি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই সিবিআইকে একটি বিশেষ নির্দেশে কলকাতা হাই কোর্ট বলেছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরশিটের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে।
সেই নির্দেশের পর মঙ্গলবার তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। সূত্রের খবর, বুধবারও সেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআইয়ের দলটি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা বা টেটে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্তের জন্য টেট-এর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের তথ্য জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছিল ওই তথ্য স্ক্যানিংয়ের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের এক সংস্থা। তাদের কাছেই এই সংক্রান্ত তথ্য আছে। গত মঙ্গলবার প্রাথমিকের নিয়োগে ওই ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য চেয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে তা জেনে আদালতকে জানাতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু শুক্রবারও সিবিআই ওই তথ্য জমা দিতে পারেনি।
পরে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ওএমআর স্ক্যান করে যে সার্ভারে রাখা হয়েছিল, তা ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয়। কোন সার্ভারে রাখা হয়েছিল ওই ওএমআর, তারই সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।