প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সহকর্মী নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তবে, স্থানীয়দের দাবি, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
অভিযোগ, চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্সকে ধর্ষণ করেছেন সেখানকারই চিকিৎসক। হোমিয়োপ্যাথি বিভাগের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মুরারই এলাকায় তিনি যেখানে থাকতেন, সেখানে হানা দিয়ে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অভিযুক্ত চিকিৎসক সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় খবরাখবর শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, কোলাঘাটের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
অন্য দিকে, ধৃত চিকিৎসকের পাশে দাঁড়িয়েছেন চাতরার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ওই চিকিৎসক কখনওই এমন কাজ করতে পারেন না। মিলন দাস নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে কী ঝামেলা হয়েছে তা জানি না। আমরা শুনে অবাক হয়েছি। এটা হতেই পারে না।’’ রশিদা বিবি নামে অন্য এক গ্রামবাসীর গলাতেও একই সুর। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের গ্রাম তো বটেই, অন্যান্য অনেক গ্রাম থেকেও রোগীরা এসে তাঁর কাছে চিকিৎসা করান। সকলের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন তিনি। আমরা এই ডাক্তারবাবুকেই চাই।’’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।