—প্রতীকী চিত্র।
বহরমপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন একটি সরকারি আবাসন থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। রবিবার সকালে এ নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। পরিবারের দাবি, সম্পত্তির জন্য খুন করা হয়েছে প্রোমোটারকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রবি দাস নামে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। দেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। সেটি সুইসাইড নোট কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রবি। টুকটাক প্রোমোটারিও করতেন। এক নিঃসন্তান বৃদ্ধের বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। রবির পরিবারের দাবি, বাড়িমালিকের ইচ্ছাতেই তাঁর অবর্তমানে ওই বাড়িটি এখন রবির নামে রয়েছে। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ওই সম্পত্তি হাতাতেই রবিকে তাঁর ব্যবসার পার্টনারেরা খুন করেছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার অযোধ্যানগরে। শনিবার রবির দেহ উদ্ধার হয় সরকারি আবাসনের ফাঁকা ঘর থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং মৃতের পরিজনেরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও মৃত প্রোমোটারের স্ত্রী সোমা দাস অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই খুনে জড়িত স্থানীয় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান। এ ছাড়াও তিন ব্যবসায়ীর নাম করেছেন তিনি।
মৃতের আত্মীয় সম্পদ দাস জানিয়েছেন, এলাকার এক বৃদ্ধের বাড়ি দেখাশোনা করতেন রবি। ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর রবিই ওই বাড়ি পাবেন বলে ওই উইল করে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু বাড়িটি রবির কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিতে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও খুন না কি আত্মহত্যা তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল বলেন, ‘‘এটি আত্মহত্যা না খুন, সেটা তদন্তসাপেক্ষ। দেহের পাশ থেকে একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। তার পরীক্ষার কাজ চলছে।’’