ভেলায় চড়ে নদী পারাপার। — নিজস্ব চিত্র।
গত ছ'বছরে কংসাবতী নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কিন্তু কংসাবতী নদীর কাটাবেড়া ঘাট থেকে ওপারে বামুনডিহার সঙ্গে সংযোগকারী যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ছ'বছর আগে, তা এখনও শেষ হয়নি। আর তার জেরে বিপাকে পড়েছেন পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ। বিষয়টির কথা শুনে অবশ্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুরুলিয়ার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু।
এ পারে পুরুলিয়ার কাটাবেড়া এলাকা। সেতু জুড়ে দেবে কাটাবেড়ার সঙ্গে ও পারের বামুনডিহা, জুরাডি, তুম্বা ঝালদা, আড়শা, রাঙামাটি, জুরাডি, শিরকাবাদের মতো এলাকাগুলিকে। কিন্তু সেতুর স্বপ্ন পূরণ হয়নি স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেতুর কাজ শুরু হলেও তা কয়েকটি স্তম্ভ নির্মাণের পর আর এগোয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই এলাকার কিছু যুবকের উদ্যোগে ভেলা তৈরি করে চলছে নদী পারাপার।
বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দা দেবীলাল মাহাত বলেন, ‘‘২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই সেতুটির শিলান্যাস করেন তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত। প্রথম এক বছর খুব দ্রুত গতিতে কাজ হয়। তাতে নদীগর্ভের কাজ হয়ে যায় এবং নদীর ওপর তিনটি স্তম্ভও তৈরি হয়। কিন্তু এর পর হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই সেতুটি নির্মিত হলে জয়পুর, বলরামপুর এবং বাঘমুন্ডি বিধানসভা এলাকার কমবেশি প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। এমনকি ধানবাদ, চাস, বোকারোর সঙ্গে অযোধ্যা পাহাড়ের দূরত্বও ৩৫ কিলোমিটার কমে যাবে।’’
এ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি বলেন, ‘‘সেতুর বিষয়টি আমি শুনেছি। জানতে পেরেছি, ওখানকার মানুষ ভেলায় চড়ে নদী পারাপার করেন। দেখছি, কী করা যায়।’’