নানুরের সুন্দরপুর গ্রামে জেলা প্রশাসনের কর্তারা। —নিজস্ব চিত্র
বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান পেল নানুরের সুন্দরপুর গ্রামের বন্যাদুর্গত ৮৭টি পরিবার। চলতি অক্টোবরে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে ওই গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সেই থেকে অজয়ের বাঁধেই প্লাস্টিকের তাঁবুতে দিন কাটছে পরিবারগুলির। শীতের ঠান্ডাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। সেই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার ওই গ্রামে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৮৭ জনের হাতে বাড়ি তৈরির প্রথম দফার অনুদান বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি প্রমুখ। জেলাশাসক জানান, উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির জন্য মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান পাবেন।
তবে, অনুদান বিলি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের দাবি, প্রথম দিকে প্রশাসনের তরফেই বলা হয়েছিল গ্রামের মোট ১১৮টি পরিবার বন্যাদুর্গত। অথচ এ দিন অনুদান পেয়েছে ৮৭ পরিবার। যাঁরা পেলেন না, তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘আমাদেরও ঘর ভেঙেছে। কিন্তু অনুদান পেলাম না। নিজেদেরও ঘর করার সামর্থ্য নেই। তা হলে কি আমাদের বাঁধেই পড়ে থাকতে হবে?’’ আবার অনুদান পাওয়া পরিবারের সদস্য কল্পনা মেটে, অষ্টম ঘোষ বলছেন, ‘‘১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় তো ঘর সম্পূর্ণ হবে না। অথচ প্রশাসন পুননির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলেছিল।’’ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের দাবি, ৮৭টি পরিবারই গৃহহীন হয়েছে। গ্রামে বসে ওই তালিকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আসলে প্রথম দিকে যাতে সবাই ত্রাণ সামগ্রী পান সেই জন্য একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদেরও আলাদা পরিবার বলে ধরা হয়েছিল। এখন তাঁরাও বাড়ির অনুদানের দাবি তুলেছেন।’’ অনুদানের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ীই অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যেই সবাইকে বাড়ি করে নিতে হবে।