বাঁকুড়ায় ফেরার পর অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
প্রবল দুর্যোগের মধ্যেও উত্তরাখণ্ড থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার সাত অভিযাত্রী। হর কি দুনে ট্রেকিং সেরে ১৫ জনের একটি দল সোমবার ভোরে ফিরেছে রাজ্যে। সেই দলেই ছিলেন বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের আগড়দা এবং পুরুষোত্তমপুর গ্রামের সাত অভিযাত্রী। এই সাত জনের মধ্যে বিকাশ রায় নামের এক ব্যক্তি সরকারি আধিকারিক। বাকি সকলেই শিক্ষকতা করেন।
১৭ অক্টোবর দেহরাদূন থেকে সাঁকরি পৌঁছন অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। ট্রেকিংয়ের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ নিয়ে বিকাশ রায় নিজের বাড়িতে বসে বলেছেন, ‘‘প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ট্রেকিং শুরু করেছিলাম আমরা। সুপিন নদীর ধারে তাঁবুতে থাকার কথা ছিল। সেখানে গিয়ে দেখলাম নদী ফুঁসছে। রাত বাড়তেই নদীর অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়। সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। পরের দিন তিন কিলোমিটার ট্রেক করে ওসলা গ্রামে পৌঁছয়। সেখানে এসে শুনলাম বেশ কয়েকজন অভিযাত্রীর প্রাণ হারানোর কথা।’’
দুর্যোগের জেরে পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। যার জেরে উৎকণ্ঠা বাড়ছিল তাঁদের পরিবারের লোকের। সোমবার বাড়ি ফেরায় খুশি তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। অভিযাত্রী সবুজ বরণ মণ্ডলের মা পাপিয়া মণ্ডল বলেছেন, ‘‘এই কয়েক দিন আমাদের কী ভাবে কেটেছে তা ভলে বোঝাতে পারব না। সকলে আজ সুস্থ ভাবে বাড়িতে ফিরেছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।’’
অভিযাত্রী দলের অন্যতম সদস্য ত্রিপুরারী কুন্ডু বলেছেন, ‘‘ট্রেকিং করার সময় দু’দিন আমাদের দুর্যোগের মধ্যে কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু আমরা কখনোই মনোবল হারিয়ে ফেলিনি। কয়েক দিন টেলিফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় পরিবারের সকলে অত্যন্ত উৎকন্ঠার মধ্যে কাটিয়েছেন। আমরা বাড়ি ফিরিয়ে আসায় সকলে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন।’’