গরু চুরির অভিযোগে ধৃত। — নিজস্ব চিত্র।
একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় এ বার ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার বালিচক থেকে ওই ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই দলের নেতৃত্বেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি জেলা জুড়ে গরু চুরি চক্র চলত বলে দাবি পুলিশের।
রাজ্যে গরু পাচারের অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। এই আবহে সম্প্রতি বাঁকুড়ার কোতুলপুর, বাঁকুড়া সদর এবং ছাতনা থানা এলাকায় একের পর এক গরু চুরির অভিযোগ উঠতে থাকে। গরু চুরির অভিযোগের কিনারা করতে তড়িঘড়ি একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। দলটি তদন্ত শুরু করতেই একের পর এক তথ্য হাতে উঠে আসতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে তিনটি গরু চুরির ঘটনাই একই দলের কাজ বলে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে চুরি যাওয়া গরুগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গরু চুরির জন্য ওই দলটি রাতে হানা দিত বিভিন্ন গ্রামে। তাদের লক্ষ্য ছিল বাড়ির বাইরে রাতে বেঁধে রাখা গরুর দল। এমন কিছু তথ্য পুলিশের হাতে আসার পর উন্নত প্রযুক্তি এবং মোবাইলের টাওয়ার লোকেশান খতিয়ে দেখে দলটিকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জানতে পারে দলটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার বালিচক এলাকায় রয়েছে। এর পর সেখানে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ হানা দিয়ে ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘ধৃতরা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গ্রামগঞ্জ থেকে গভীর রাতে গরু চুরি করে মাঝারি মাপের গাড়িতে চাপিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে নিয়ে চলে যেত। সেখানে বিভিন্ন গরুর হাটে এবং সাধারণ মানুষের কাছে গরুগুলি বিক্রি করা হত। ধৃতেরা অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এই চক্রের সাথে আন্তঃরাজ্য বা আন্তর্জাতিক গরু পাচার চক্রের কোনও যোগ মেলেনি। আমরা ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করব।’’