Anubrata Mondal

Anubrata Mondal: ভোটে প্রার্থী দেওয়ার লোক থাকবে না, কটাক্ষ অনুব্রতের, বীরভূমে আবার বিজেপি-তে ভাঙন

অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘‘মিছে কথা বলে তো বেশি দিন দল করা যায় না। যুব সম্প্রদায় তো দশ বছর ধরে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার চাকরি দিতে পারছে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বীরভূম শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২২ ২০:২০
Share:

অনুব্রতের দাবি, কয়েক হাজার বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলে চলে এসেছেন।

পুরভোটের আগে বিজেপি-তে ভাঙন অব্যাহত। এ বার দল ছাড়লেন বিজেপি-র দুবরাজপুর এলাকার সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ আচার্য। রবিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিলেন স্বরূপ-সহ আরও ৪৮ বিজেপি নেতা। দলত্যাগী নেতার দাবি, বিজেপি-তে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। যদিও অনুব্রতের দাবি, সব মিলিয়ে জেলায় কয়েক হাজার বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শুধু করোনার কারণে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়নি। এর পর তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আগামী পুরভোটে জেলায় বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে কি না সন্দেহ।’’

Advertisement

রবিবাসরীয় বিকেলে বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে উপস্থিত হন বিজেপির দুবরাজপুর এলাকার সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাড়াও প্রায় ৪৮ জন গেরুয়া নেতা তৃণমূলে যোগদান করেন। দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন অনুব্রত মণ্ডল। পুরসভা নির্বাচনের মুখে জেলায় একের পর এক বিজেপি নেতাকর্মীর তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। আর এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘ওরা প্রার্থী দিতে পারবে কি না, সেটা ওদের বিষয়। তবে যে কেউ যা খুশি করতে পারে।’’ তাঁর দাবি, বিজেপি কাজ করে না। উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেনি কেন্দ্র। সে কারণে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে ভিড়ছেন।

বিজেপি-কে কটাক্ষের সুরে কেষ্ট বলেন, ‘‘আজ রামপুরের পর সাঁইথিয়ায় এগারোশো লোক যোগদান করল। আমি কী করব? আজ সব মিলিয়ে দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বোলপুরে তো ব্যাপক যোগদান হয়েছে। তার দায় তো আমি নিতে পারব না। দল করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু প্রার্থী দিতে পারবে কি না সেটা তাদের (বিজেপি) ব্যাপার।’’ এ দিকে বিজেপি অভিযোগ করেছে, ভয় দেখিয়ে তাদের কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ হেলায় উড়িয়ে অনুব্রতর কটাক্ষ, ‘‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’’।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবশ্য সব যোগদান অনুষ্ঠিত হয়নি। অনুব্রত বলেন, ‘‘করোনার সময় তো। তাই আসল আসল লোকদের আসতে বলেছি।’’ পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তিনি দাবি করেন ২০১৪ সাল থেকে একটা ভাল কাজ করেনি বিজেপি। যুব ও ছাত্রদের জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। অপর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প করবেন। এখন প্রত্যেক পরিবারের মহিলার হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘মিছে কথা বলে তো বেশি দিন দল করা যায় না। যুব সম্প্রদায় তো দশ বছর ধরে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার চাকরি দিতে পারছে না।’’ তার পর তিনি যোগ করেন, ‘‘আগে উন্নয়ন, তার পর উন্নতি।’’

আরও পড়ুন:

বিজেপি ছেড়ে আসা স্বরূপ জানান, বিজেপি-তে তিনি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু করেছেন, জেলায় অনুব্রত মণ্ডল যে উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু করেছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি বিজেপি-তে যোগদান করলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement