ঘর ভেঙে ঢুকে গিয়েছে ধাক্কা। নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার জনের। আহত তিন। বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনী মোড়ের কাছে একটি গরুবোঝাই লরির পিছনে একটি বালির ডাম্পার সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহত তিন জনকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পুরুলিয়ার বলরামপুর থেকে একটি লরিতে গরু নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুর রওনা দিয়েছিলেন এক দল ব্যবসায়ী। বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাস্তায় রায়বাঘিনী মোড়ের কাছে আচমকা ওই লরিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। রাস্তার ধারে লরিটি দাঁড় কারনো লরিটি সারানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ভোর রাতে লরি মেরামতির সময় আরামবাগগামী একটি বালিবোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তার জেরে বালিবোঝাই লরিটি সোজা গিয়ে ঢুকে যায় রাস্তার ধারের একটি বাড়িতে। ওই বাড়িতে তখন ঘুমোচ্ছিলেন এক দম্পতি। লরিটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঢুকে গেলেও প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। তবে চার জনের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়।
মৃতরা হলেন ফিরোজ লস্কর, শুকুর লস্কর, ঝন্টু মোল্লা। আর এক জনের পরিচয় জানা যায়নি। এই তিন জন গরুবোঝাই লরিটিতে ছিলেন। পুলিশের দাবি, চতুর্থ জন ডাম্পারের চালক অথবা খালাসি হতে পারেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত তিন ব্যাক্তির আত্মীয় খাইরুল আলি মোল্লা বলেন, ‘‘ফিরোজ লস্কর, শুকুর লস্কর এবং ঝন্টু মোল্লা তিন জনই সম্পর্কে আমার মামা। তিন মামাই ঘটকপুরের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি বালিবোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ দুর্ঘটনার জেরে ১৩টি গরুরও মৃত্যু হয়েছে।