—প্রতীকী চিত্র।
জোড়া খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই চার জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে।
গত রবিবার রাতে বাঁকুড়া শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনচটি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মথুরামোহন দত্ত নামের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পিন্টু, তাঁর স্ত্রী নমিতা রুইদাস এবং তাঁদের দুই ছেলে মহেশ্বর ও বিশ্বেশ্বর রড, লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুরামোহন ও তাঁর ছেলে শ্রীধরের উপর। দু’জনকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার পাশাপাশি মথুরামোহনের স্ত্রী মল্লিকা দত্তকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে যান পিন্টু ও তাঁর পরিবার। অন্য দিকে, ওই হামলার খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ আহত মথুরামোহন, শ্রীধর এবং মল্লিকাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মথুরামোহন এবং তাঁর ছেলের। আহত মল্লিকা এখনও চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
এই ঘটনা নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একাধিক দল জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত চার জনকেই আমরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বুধবার ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে।’’