ফাইল চিত্র।
বাঁকুড়ায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দু’জনের। আহত হলেন কমপক্ষে ১৪ জন। এঁদের মধ্যে এক জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরাও ভর্তি রয়েছেন বিভিন্ন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
রবিবার বিকালে আচমকাই কালো মেঘে ঢেকে যায় বাঁকুড়ার আকাশ। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও হয়। বৃষ্টির সময় হীড়বাঁধ ব্লকের মলিয়ান গ্রামে বাড়ির কাছে খেলা করছিল বছর চোদ্দোর মানসী মণ্ডল। সেই সময় বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয় সে। স্থানীয়েরাই তাকে উদ্ধার করে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই একই সময় বাড়ির কাছে গোয়ালে গরু বাঁধছিলেন জয়পুর থানার হেতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর পয়ষট্টির বিশ্বনাথ মাঝি। তিনিও বজ্রপাতে জখম হন। তাঁকে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
জেলায় আরও দু’টি পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেলে বৃষ্টির সময় সোনামুখী থানার পলাশডাঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কয়েক জন। সেখানে আচমকা বজ্রঘাতে এক মহিলা-সহ ১০ জনের বেশি আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্য দিকে, বৃষ্টির সময় ইন্দপুর ব্লকের বাউরিশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েক জন। সেখানে বজ্রপাতে আহত হন বেশ কয়েক জন। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।