অপেক্ষা।—ফাইল চিত্র।
একটি লোকাল ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ায় বুধবার রাতে হাওড়ায় বহু যাত্রী বিপাকে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে সেই দুর্ঘটনাস্থলেই পয়েন্ট-বিভ্রাটের জেরে সারা দিন শহরতলির লোকাল এবং দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
এ দিনের বিভ্রাটে ১৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম খালি না-থাকায় স্টেশনে ঢোকার মুখে দূরপাল্লার বেশ কিছু মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে।
রেল সূত্রের খবর, বুধবার রাতে হাওড়া স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ডাউন মশাগ্রাম লোকাল লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। এ দিন সকালে সেখানেই পয়েন্টের গন্ডগোল ধরা পড়ে। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ওই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেও ত্রুটি পুরো সারানো যায়নি।
পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ঠিকমতো ব্যবহার করতে না-পারায় নির্ধারিত বহু ট্রেনকে অন্য প্ল্যাটফর্মে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তাতেই বিভিন্ন ট্রেন ছাড়তে দেরি করে। হাওড়ামুখী বহু ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা দেরি হয়। একই ভাবে হাওড়া থেকে বহু ট্রেন ছাড়তে গিয়ে বিলম্ব হয় ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা। মেন ও কর্ড দুই শাখাতেই ট্রেন চলে দেরিতে।
স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে পুজোর কেনাকাটা করতে বেরোনো অসংখ্য মানুষ চরম হয়রানির মুখে পড়েন। হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায়, চারটি বেলুড়, চারটি ব্যান্ডেল, দু’টি শেওড়াফুলি এবং দু’টি শ্রীরামপুরগামী লোকাল বাতিল করতে হয়। দু’টি মশাগ্রাম লোকাল বাতিল করা হয় কর্ডলাইনে। রাতের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বুধবার রাতে লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার পরে এ দিন কেন পয়েন্ট বিকল হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’