মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
মালদহে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সম্প্রতি জমি দখলের মামলায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আব্দুর। ওই মামলাতেই সোমবার স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধায়ককে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। শীঘ্রই ওই মামলায় পরবর্তী শুনানি হতে পারে।
বছরখানেক আগে মালতীপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। চাঁচল থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। চলছে বিচার প্রক্রিয়াও। অন্য দিকে, অভিযোগ খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আব্দুর। সোমবার হাই কোর্টে পাল্টা মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। সব শুনে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। দ্রুত শুনানির আবেদনটিও বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগ খারিজ হয়নি।
দেড় বছর আগে মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুরকে মালদহে দলের জেলা সভাপতি করে তৃণমূল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরএসপি-র প্রার্থী ছিলেন আব্দুর। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে এসেছেন আব্দুর। দলের বিভিন্ন সভায় কখনও বিরোধীদের কোমরে দড়ি পরিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি, কখনও আবার হাত, পা ভেঙে দেওয়া কিংবা চোখ উপড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি! সম্প্রতি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর আব্দুরের বিরোধীদের দাঁত ভেঙে দেওয়া, জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারিকে ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের সরাসরি আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় আব্দুরকে। এ বার সেই আব্দুরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।