হাসপাতালে মৃত্যু হল খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির। —ফাইল চিত্র
জেল খাটছিলেন প্রায় সাড়ে ১১ বছর ধরে। মুক্তি পাওয়ার কথাও ছিল কয়েক দিনের মধ্যে। তার আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হল খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দির।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন মিজানুর রহমান সর্দার। বুধবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এর পরেই তাঁকে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরে মৃত্যু হয় মিজানুরের। তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বিবি বলেন, ‘‘আর কয়েক দিন পরেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল স্বামীর। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা।’’ মা সফুরা বিবির আর্জি, ছেলের দেহের যাতে ময়নাতদন্ত না হয়।
২০০১ সালের ২৫ জুলাই তিলজলা থানা এলাকার সি এন রায় রোড থেকে খাদিম-কর্তা পার্থ রায়বর্মণকে অপহরণ করা হয়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। তদন্তে নেমে সিআইডি ওই অপহরণ-কাণ্ডের পিছনে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের হদিস পায়। মূল চক্রী হিসেবে আফতাব আনসারি এবং অন্য চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার প্রথম পর্যায়ের রায়ে আফতাব-সহ পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। পরে ধরা পড়ে আরও কয়েক জন। সেই দলেই ছিলেন মিজানুর। ২০০৯ সালে মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পরে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।