— ফাইল চিত্র
আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক টেট-এর দিন চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই টেট উত্তীর্ণদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্রক্রিয়াও শুরু হতে চলেছে জানুয়ারিতে। এ দফায় মোট ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারের ঘোষণা, ১৬ হাজার ৫০০ শূন্য পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আজ, বুধবার প্রকাশ করা হবে। ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারভিউ হবে। নিয়োগ-প্যানেলও দ্রুত হবে।
৩১ জানুয়ারির টেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পরীক্ষা অফ-লাইনে হবে। আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবেন।’’ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের সুরক্ষায় উপযুক্ত পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, জেলাস্তরে বিষয়পিছু শিক্ষক সংখ্যার তথ্য দেখে বদলি প্রক্রিয়া চালাতে হচ্ছে। তিনি জানান, শিক্ষকদের বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে ১০ হাজার ১৬৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। ৬৪৬৬ জনকে বদলি করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। বাকিদেরটা বুঝে করা হবে। সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে নিজের জেলায় বদলি চেয়েছিলেন ৫৫০২ জন শিক্ষক।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সংস্থা সায় দিলে পিয়ারলেসে পরীক্ষা রুশ টিকার
আরও পড়ুন: ট্যাব কিনতে টাকা দেবে সরকার
৩৮৫২ জনকে বদলি করা হয়েছে। মিউচুয়াল বদলি চেয়েছিলেন ৪৫৯৪ জন। ৪৪৯০ জনকেই বদলি করা হয়েছে। যদিও শিক্ষকর সংগঠনগুলির মতে আপস-বদলি ও বিশেষ কারণে বদলি ছাড়া কোনও বদলিই এখনও চালু হয়নি। বিশেষ করে আবেদনের ভিত্তি ও জেলা বদলি চালু হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ৭০ শতাংশ বদলির কথা বলেছেন তা আসলে বিশেষ কারণ বা স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলি। আমরা চাই আবেদনের ভিত্তিতে সাধারণ বদলি ও নিজের জেলায় বদলি চালু হোক।’’