ডিএলএড মামলায় কী বলল আদালত? —ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে একের পর এক মামলা হচ্ছে। শুনানিও চলছে। কিন্তু এতে চাকরিপ্রার্থীদের উপকার কি হচ্ছে? সোমবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাই কোর্টে।
ডিএলএড মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘শুধু মামলার পর মামলা হচ্ছে, চাকরি হচ্ছে কোথায়?’’ প্রসঙ্গত, প্রাথমিক টেটে বিএড প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরে। এই অবস্থায় টেট কর্তৃপক্ষ কোন রকমের সংশোধনী প্রকাশ করতে পারেন কি না, তা জেনে আসতে পর্ষদের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সোমবার দুপুর ১টায় এই মামলার শুনানি।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরে ২০১৮ ও ২০২২ টেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় হাই কোর্টে। গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের মন্তব্য ছিল, ‘‘এখন তো দেখা যাচ্ছে বার বার সমস্যার মুখে পড়ছে পর্ষদ। কোনও পদক্ষেপ করলেই মামলা হচ্ছে।’’ বৃহস্পতিবার এই মামলায় কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়নি হাই কোর্ট। সোমবার ওই মামলার শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়, ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন)-এর পাশাপাশি বিএড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। যা নিয়ে আপত্তি তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থী। মামলাকারীদের মতে, ডিএলএড ডিগ্রি শুধুমাত্র টেট পরীক্ষার জন্য কাজে লাগে। আর বিএড প্রয়োজন হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের যে কোনও পরীক্ষায়। অর্থাৎ, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের জন্য দরকার ডিএলএড ডিগ্রি। আর উচ্চ প্রাথমিক (ব্যতিক্রম স্নাতক ডিএলএড), মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রয়োজন বিএড ডিগ্রি। মামলাকারীদের বক্তব্য, প্রাথমিক স্কুলের পরীক্ষায় যদি বিএড-রা ঢুকে যায় তবে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। আর বঞ্চিত হবেন ডিএলএড ডিগ্রিধারীরা। কারণ, এই যোগ্যতা নিয়ে অন্য কোথায় আবেদন করা যায় না। ফলে ডিএলএড-রাই শুধু টেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন— এই নির্দেশ দিক আদালত।