প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড, ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট-সহ সমস্ত নথি দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। — নিজস্ব চিত্র।
টেট উত্তীর্ণ ভুয়ো প্রার্থীকে হাতেনাতে ধরল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নথি যাচাই করাতে এসেছিলেন ওই চাকরি প্রার্থী। তখনই তাঁর অ্যাডমিট কার্ড, ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট-সহ সমস্ত নথি দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তার পরেই কড়া পদক্ষেপ। পর্ষদের তরফে বিধাননগর পূর্ব থানায় এফআইআর করা হয়।
টেট উত্তীর্ণদের নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা ভাগ করে নিয়োগের এই প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। টেট উত্তীর্ণদের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। তখনই নিজের নথি যাচাই করানোর জন্য নিয়ে আসেন বাপ্পা দেবনাথ নামে এক প্রার্থী। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়।
বাপ্পার নথি দেখে আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। পরে দেখা যায়, অ্যাডমিট, ভেরিফিকেশন শংসাপত্র থেকে যা নথি তিনি এনেছিলেন, সব ভুয়ো। পর্ষদের তরফে এ নিয়ে প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাপ্পা কোনও সঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দিতে পারেননি। কবে পরীক্ষা দিয়েছেন ইত্যাদি কোনও প্রশ্নেরই জবাব পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ তেকে। তার পরেই এফআইআর দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব পার্থ কর্মকার বলেন, ‘‘সন্দেহ হওয়ায় গোটা বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি আমরা। বোর্ডের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে দিকে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। মঙ্গলবার ধরা পড়ার পরেই পদক্ষেপ করেছে বোর্ড।’’