— ফাইল ছবি।
আগামী শুক্রবারের মধ্যে ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রকাশ করা হবে তালিকাও। বুধবার আদালতে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
গত ৭ নভেম্বর, ২০১৭ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও, ২০১৪ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি পর্ষদ। পরে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এনসিটিই-র নির্দেশিকা মেনে এই প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত করতে বলেছিলেন। তার পর বুধবার আদালতে পর্ষদ এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। জানিয়ে দিল, ওই বছর ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী টেট পরীক্ষায় সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। মামলাকারীরা সবাই সংরক্ষিত প্রার্থী এবং প্রত্যেকেই ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর আসলে ৫৪.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী তা ৫৫ শতাংশ হচ্ছে না। চাকরিপ্রার্থীরা যদি ১ নম্বর বেশি পেতেন তবে শতাংশের বিচারে তা হত ৫৫.৩৪। সে ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়ম প্রযোজ্য হত। তাই পর্ষদ সংরক্ষিতদের জন্য ৮২-র পরিবর্তে ৮৩ নম্বর ধার্য করে।
অন্য দিকে, মামলাকারীদের আইনজীবী সওয়াল করেন, বিষয়টি নিয়ে জটিলতার কারণে এনসিটিই শতাংশের পাশাপাশি নম্বরও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এনসিটিই জানিয়ে দিয়েছে, ৮২ নম্বর হলেই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। সেই মোতাবেক ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ শতাংশ হিসাবেই গণ্য করা উচিত ছিল। তা ছাড়া দু’টি টেটেই কয়েকটি প্রশ্নে ভুল ছিল। তা নিয়ে মামলা চলছে। ফলে সেখান থেকে কিছু নম্বর পেলেই মামলাকারীরা যোগ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-এর টেটে ৮২ নম্বরকেই ৫৫ শতাংশ নম্বর হিসাবে ধরা হত। কিন্তু ২০১৪-এর ক্ষেত্রে তা ছিল ৫৫ শতাংশের কম। মামলাকারীদের প্রশ্ন, একই পরীক্ষার ক্ষেত্রে নম্বরের এমন রকমফের কেন? তাতে আরও বিভ্রান্তি বাড়ছে বলেও মনে করেন তাঁরা।
তার পরই পর্ষদ ২০১৭ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৪ সাল নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তা নিয়ে ২০১৪-এর টেট পরীক্ষার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই প্রসঙ্গেই বুধবার পর্ষদ আদালতে জানাল, শুক্রবারের মধ্যেই ২০১৪ সালের সংরক্ষিত বিভাগের ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হবে।