হাই কোর্টে ২০১৪ সালের প্রার্থীদের নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের প্রার্থীরা। —ফাইল ছবি
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধু মাত্র ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবেন? কেন শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিবেচনা করা হবে না? বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
হাই কোর্টে ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ জানান, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে যে শূন্যপদ অবশিষ্ট রয়েছে, তা পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে কেন শুধু মাত্র ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে? কেন ২০১৭ সালের প্রার্থী এই নিয়োগে সুযোগ পাবেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী। আদালতে তিনি আরও জানান, টেট পাশ করলেই চাকরি পাওয়া যাবে, এমন নয়। নিয়ম হল, নিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করা হবে। সেই প্যানেলের মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণ করা হবে। নতুন প্যানেল তৈরি করে ২০১৪ এবং ২০১৭, দুই বছরের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরই চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে এবং ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোট ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যস্থান পূরণের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু অভিযোগ, সমস্ত পদ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করা হয়নি। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল, হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমন তথ্য উঠে আসে। দেখা যায়, সেই সময় বাকি থেকে গিয়েছিল মোট ৩৯২৯টি শূন্যপদ।
এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ওই শূন্যপদগুলিতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের সুযোগ পাওয়া উচিত। কারণ এগুলি তাঁদের জন্য বরাদ্দ ছিল। যোগ্যতার ভিত্তিতে এই ৩৯২৯টি শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও। বৃহস্পতিবার ফের সেই মামলার শুনানি হবে।