তিন পুরসভাতেই ভোটের পক্ষে কমিশন। ফাইল চিত্র
ছটপুজোর পরেই রাজ্যের তিন পুরসভা এলাকায় বেজে যাবে ভোটের দামামা। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের একাংশ চেয়েছিল তিনের বদলে ছয় পুরসভা (কর্পোরেশন) এলাকায় এই দফায় ভোট করানো হোক। সূত্রের খবর, বড়দিনের ছুটির আগেই ১২ কিংবা ১৯ ডিসেম্বর মাসে কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর পুরসভায় ভোট হতে পারে।
প্রশাসনের একাংশ চেয়েছিল এই তিন পুরসভার সঙ্গেই করানো হোক আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট। উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই যে ভোট তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ের পর তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের পুরসভাগুলিতে দ্রুত ভোট করানোর চেষ্টা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ইঙ্গিত পেয়ে নিজেদের মতো ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কমিশনের আলোচনাপর্ব শুরু হয়। এই অধ্যায়েই তিন পুরসভার সঙ্গেই আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট করানোর কথাও আলোচিত হয়। তবে কমিশনের কর্তারাই জানিয়ে দেন, যে এমন পরিস্থিতিতে তিনের বেশি পুরসভায় ভোট করানো সম্ভব হবে না। কারণ প্রসঙ্গে জানা যায়, পুজোর পরেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাই ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ। যেহেতু কলকাতার পুরসভার সঙ্গে লাগোয়া হাওড়া ও বিধাননগর। তাই আপাতত এই তিন পুরসভাতেই ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সবকিছুই আলোচনার স্তরে রয়েছে। ঘোষণা হলেই সব জানতে পারবেন। তবে আমার ধারণা জল্পনা যাই হোক শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরে শুধুমাত্র তিন পুরসভাতেই ভোট হতে পারে।’’