—ফাইল চিত্র।
তফসিলি জাতি ও জনজাতি সংগঠন শক্তিশালী করতে এই অংশের দলীয় কর্মীদের নাম চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দলের জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের কারও কারও পাঠানো তালিকায় রয়েছে বাড়ির কাজের লোক, গাড়ির চালক বা সেই ধরনের কারও। যাঁদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার নদিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। জেলার বিধায়ক, ব্লক ও টাউন সভাপতিদের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নদিয়ার সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর।
করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান বাড়লেও বিজেপির ভোট বৃদ্ধি নিয়ে নদিয়ার নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতাদের ওই বৈঠকেই সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করেন পিকে। তার ভিত্তিতেই করিমপুরে বিজেপির ৪ শতাংশ ভোটবৃদ্ধি সম্পর্কে তাঁদের সতর্ক থাকতে বলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: লোপাট ৪০ কোটি, ব্যবস্থার আশ্বাস ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে
নদিয়ার নেতাদের সঙ্গে জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এক মন্ত্রী ও বিধায়ক সহ একাধিক নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন চাকদার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ। লোকসভা ভোটে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে পরাজয়ের কখা উল্লেখ করে বক্সী জানিয়ে দেন, তারপরেও মন্ত্রীর কাজকর্মে দল সন্তুষ্ট নয়। একইভাবে জেলা দলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়েন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। জেলাওয়াড়ি বৈঠকে এদিন দুই বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন দুই বর্ধমান জেলার নেতাদের সঙ্গেও একই বৈঠক হয়।