সব জেলাশাসককে লিখিত ভাবে ক্ষোভের কথা জানিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। ফাইল চিত্র।
প্রকৃত প্রাপকদের বাড়ি করে দেওয়ার শর্তে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গের টাকা ছেড়েছে কমবেশি আট মাসের টালবাহানার পরে। কিন্তু ন্যায্য উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পঞ্চায়েত দফতর। ইতিমধ্যে সব জেলাশাসককে লিখিত ভাবেও সেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছে তারা।
প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল, যাচাই প্রক্রিয়ার সঙ্গেই প্রতিটি বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের অফিসে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসডিও অফিসের কন্ট্রোল রুমে উপভোক্তারা নিজেদের বক্তব্য বা অভিযোগ জানালে তার নিষ্পত্তি করতে হবে দ্রুত। এই কাজের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পঞ্চায়েত দফতর। তারা জানিয়েছে, অভিযোগ জানানোর এই ব্যবস্থা সম্পর্কে যথাযথ প্রচার না-থাকায় অভিযোগ এবং তার নিষ্পত্তির সংখ্যা সন্তোষজনক নয়। বিভিন্ন কন্ট্রোল রুমে বহু মানুষ যোগাযোগই করতে পারছেন না। তাই তাদের নির্দেশ, অভিযোগ জানানোর পদ্ধতির প্রচার এবং সিনিয়র অফিসারের নেতৃত্বে নজরদারি চালাতে কন্ট্রোল রুমে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া শর্ত এবং নজরদারিতে পঞ্চায়েত দফতর তটস্থ। তাই কার্যকর পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না তারা। ত্রুটি-গাফিলতি থেকে গেলে দায়বদ্ধ হতে হবে দফতরকেই। জেলা প্রশাসনগুলির অনেকে জানাচ্ছেন, ন্যায্য উপভোক্তার তালিকা তৈরি করতে কর্মী-অফিসারদের যে-পরিমাণ চাপ নিতে হচ্ছে, তার পরে এ কাজ সামলানো বেশ সমস্যার। কারণ, জেলা প্রশাসনেও কর্মী-অফিসারের সংখ্যার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তার মধ্যেই সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশ মানার তাগিদে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হচ্ছে জেলাগুলিকে।