কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আরও এক জন জামিন পেলেন। শর্তসাপেক্ষে ‘মিডলম্যান’ প্রদীপ সিংহ ওরফে ছোটুকে মুক্তি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই নিয়ে নিয়োগ মামলায় মোট জামিনের সংখ্যা হল চার।
এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসসি নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন নীলাদ্রি ঘোষ। তার পর এসএসসি মামলাতেই জামিনে মুক্তি পান প্রসন্ন রায়। চতুর্থ জন হিসাবে জামিন মঞ্জুর হল প্রদীপের।
২০২২ সালের ২৪ অগস্ট নিয়োগ মামলার তদন্তের সূত্রে প্রদীপকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ ছিল। সিবিআই দাবি করেছিল, প্রদীপ অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের বিভিন্ন তথ্য এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ অন্য কর্তাদের পাঠাতেন। শান্তিপ্রসাদদের ফোনে প্রদীপের নম্বরও ‘সেভ’ করে রাখা ছিল বলে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। পরে এই প্রদীপের সূত্রেই গ্রেফতার করা হয় আর এক ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে। প্রদীপ যে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থায় কাজ করতেন, প্রসন্ন ছিলেন তার মালিক।
গত ১০ নভেম্বর নিয়োগ মামলায় প্রসন্নকে জামিন দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করে জানায়, তারা এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। প্রসন্নের হয়ে টাকা তুলতেন এই প্রদীপ। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রদীপের বিরুদ্ধে যাঁর নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই প্রসন্নকেই উচ্চতর আদালত জামিন দিয়েছে। ফলে প্রদীপের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর হয়।
আদালতে প্রদীপের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, এই মামলার প্রথম চার্জশিট বহু দিন আগে দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তে নতুন কোনও দিশা পাওয়া যায়নি। তার পরেই সিবিআইয়ের তরফে প্রসন্নের প্রসঙ্গ তোলা হয়। তবে প্রদীপের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি।
শুনানি শেষে প্রদীপের আইনজীবী জানিয়েছেন, ৮০২ দিন পর তাঁর মক্কেল জামিন পেলেন।