উদ্ধার হওয়া রুপোর মুদ্রা এবং কলসি (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
পুকুরের ধারে মাটি খুঁড়তেই মিলল ছোট একটি তামার কলসি। কলসির কাদা পরিষ্কার করতে গাছের গায়ে ঠুকতেই ভিতর থেকে ঝরঝর করে পড়তে থাকল রুপোর মুদ্রা।
শনিবার দুপুরে তার পরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি থানার পরমেশ্বরপুর এলাকায় রটে যায়, গুপ্তধনের খোঁজ মিলেছে। সঙ্গে সঙ্গেই বেশ ভিড়ও জমে যায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে কিছু মুদ্রা উদ্ধার করেছে। সম্ভবত দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে কলসির ভিতরে পড়ে ছিল মুদ্রাগুলো। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিভাগীয় প্রধান সুতপা সিংহ জানান, মুদ্রাগুলো চতুর্দশ শতকে ইলিয়াস শাহি যুগের। সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এবং সিকান্দর বিন ইলিয়াস শাহর আমলের এই মুদ্রাগুলোর উপরের লেখার ভাষা আরবি, লিপি নাশখ্। সুতপা বলেন, ‘‘এই মুদ্রাগুলো ফিরোজাবাদ টাঁকশালের। যা বর্তমানে মালদহের পাণ্ডুয়া। মুদ্রাগুলো তৎকালীন এক তঙ্কা।’’ এর আগেও কুশমণ্ডি থেকে এক সঙ্গে এমন বেশ কিছু মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র বিশাল বৈশ্য কয়েক দিন আগে পরমেশ্বরপুর গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। জামাইবাবু রামধন সরকারের সঙ্গে পুকুরে পাট জাগ দিতে গিয়ে শনিবার বিশালই দেখতে পায় পুকুরের এক ধারে কিছু একটা চকচক করছে। সেখানে খুঁড়তেই কলসিটি উঠে আসে। তার পরে তার ভিতর থেকে মেলে রুপোর মুদ্রাগুলো।
খবর ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি। বহু লোক চলে আসেন এলাকায়। সেই সময় কিছু মুদ্রা বেহাত হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কুশমণ্ডি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, তামার কলসটি থেকে ৪৬টি রুপোর প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। লোপাট মুদ্রা উদ্ধারে তল্লাশি চলানো হচ্ছে।