ক্লাস-রুটিন বরাবরই দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু তা নিতান্তই সংক্ষিপ্ত। এ বার ব্যবস্থা হচ্ছে পোস্টারের। পড়ুয়া তার ক্লাসে ন্যূনতম কতটা শিখবে, তা ওই পোস্টারে লিখে শ্রেণিকক্ষ এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে নোটিস বোর্ডের কাছে সেঁটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন। কী পদ্ধতিতে পড়ানো হচ্ছে, তার সার্বিক ধারণা দিতে লিফলেট বা প্রচারপত্রও দেওয়া হবে অভিভাবকদের।
মিশন জানিয়েছে, প্রথম থেকে অষ্টম পর্যন্ত সব শ্রেণিতে প্রতিটি বিষয়ের পোস্টার লাগানো হবে আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই। তাতে নিজেদের ন্যূনতম পাঠসীমা সম্পর্কে পড়ুয়ারা তো সচেতন হবেই। সচেতন করা যাবে অভিভাবকদেরও।
সারা বছরে শিক্ষকদের কোন শ্রেণিতে কী পড়াতে হবে, সেই বিষয়ে ‘লার্নিং আউটকাম’ নামে একটি বই প্রকাশ করা হচ্ছে। শিক্ষক শিবিরের একাংশের মতে, শুধু শিক্ষকদের কাছে ওই বই থাকলে হবে না। প্রত্যেক পড়ুয়ারও জানা দরকার, সে তার ক্লাসে সারা বছরে ন্যূনতম কতটা শিখবে। সেটা পরিষ্কার করে জানানোর জন্যই এই পোস্টার।
পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, “পোস্টার সাঁটালে পাঠ্যক্রম আরও স্বচ্ছ হবে। অভিভাবকেরাও জানতে পারবেন, একটি ক্লাসে এক-একটি বিষয়ে সন্তানের ন্যূনতম কতটা শেখা জরুরি। যদি তা শেখানো না-হয়, অভিভাবক সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারবেন, আগে ঠিক করে রাখা সত্ত্বেও ততটা শেখানো হল না কেন।” অভীকবাবু জানান, পোস্টারের ব্যবস্থা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শেই।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “এত পোস্টার লাগালে স্কুলের দেওয়াল কতটা পরিষ্কার থাকবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।” অভীকবাবু অবশ্য জানান, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের চোখ টানতে খুব আকর্ষক করা হচ্ছে পোস্টারগুলোকে। সেগুলো লাগালে স্কুলের দেওয়াল কোনও ভাবেই নোংরা হবে না।