ফাইল চিত্র।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে।
শুনানি শুরু হলে আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের রেশনের ব্যবস্থাও করতে হবে সরকারকে।
এর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত মামলায় যতগুলি অভিযোগ ছিল সব ক’টা রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করতে বলা হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ সংক্রান্ত যত তথ্য আছে সেগুলি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে মুখ্যসচিবকে।
বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু নিয়েও একটা মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারী ছিলেন এন্টালির বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি জানান, হাই কোর্ট অভিজিতের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গত মে মাসে ভোটের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে গত দু’মাস ধরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র কারণে তাদের অনেক কর্মীকে হারাতে হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন। এমনকি এ বিষয়ে সরকার যাতে পদক্ষেপ করে সে বিষয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন ধনখড়।