No Internet Connection

ইন্টারনেট পেতে পড়শি জেলা থেকে কেতুগ্রামে

আজকাল সরকারি অনেক পরিষেবাও মেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ করানোর জন্য ভিড় লক্ষ্য করা যায় অনেক পরিষেবা কেন্দ্রে।

Advertisement

প্রণব দেবনাথ

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৩৬
Share:

ইন্টারনেটের খোঁজে কেতুগ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে ওই জেলায়। এতে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে মুর্শিদাবাদের সালার এলাকার অনেক বাসিন্দাই সংলগ্ন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে আসছেন বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই সকাল হতে না হতেই মুর্শিদাবাদের সালার, কাগ্রাম, তালিবপুর, খাড়েরা, মাখালতোর-সহ নানা এলাকা থেকে লোকজন কেতুগ্রামের কেউগুড়ি, শিবলুন, আগড়ডাঙা গ্রামে আসছেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন। ওই সব গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বুক করা-সহ অনলাইনের নানা কাজ সেরে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। অনেককে আবার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, এক্স হ্যান্ডেলের মতো সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করতে কেতুগ্রামে আসছেন। তাঁদের সকলেই জানতে চান, কবে মুর্শিদাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।

আজকাল সরকারি অনেক পরিষেবাও মেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ করানোর জন্য ভিড় লক্ষ্য করা যায় অনেক পরিষেবা কেন্দ্রে। আবার ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, স্কুল, সরকারি কার্যালয়, আদালত, সব জায়গাতেই বহু কাজ হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের মাখালতোর গ্রামের বাসিন্দা সাগর ঠাকুর বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমাদের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে আমাদের খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে পাশের কেতুগ্রামের আগড়ডাঙা গ্রাম সংলগ্ন মাঠে যেতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে আমাদের জেলার বহু মানুষ আগড়ডাঙা গ্রামের মাঠে যাচ্ছেন। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছি।” কেতুগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ইন্টারনেট সংযোগ পেতে মুর্শিদাবাদের বহু মানুষ কেতুগ্রাম থানা এলাকার অনেক গ্রামে আসছেন। বেশ কিছু সময় সেখানে থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে বাড়ি ফিরছেন। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।”

কেতুগ্রামের কেউগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাসির শেখ বলেন, “আমাদের গ্রামের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের দূরত্ব মেরেকেটে সাত কিলোমিটার। পড়শি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে আমাদের গ্রামে ওই জেলার বাসিন্দাদের ভিড় লেগেই থাকছে। বেশির ভাগ লোকই বাইক ও মোটরভ্যানে চেপে আমাদের গ্রামে এসে মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ করে অনলাইনে নানা কাজ সারছেন। আবার অল্পবয়সি ছেলেরা সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন।”

বহরান গ্রামের বাসিন্দা টোটোন ঘোষ বলেন, “আমাদের গ্রামে কালীবাড়িতে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার, তালিবপুর ও কাগ্রাম এলাকার প্রচুর মানুষ আসছেন স্রেফ ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে। সকাল হতে না হতেই গ্রামে ভিড় দেখা যাচ্ছে। আবার সালার থেকে প্রচুর মানুষ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় শিবলুন স্টেশনে নামছেন মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে। বহু মানুষ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সেরেবাড়ি ফিরছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement