ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অপদার্থ বলে ভর্ৎসনা করল হাই কোর্ট। শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তখন তিনি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। কেন অনিয়ম হয়েছে তা জানতে চেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর পরই বিচারপতি বলেন, “এই কমিশন কোন আধিকারিকরা চালাচ্ছেন? অবিলম্বে কমিশনকে খারিজ করা উচিত।” ২০১৯-এর ১ অক্টোবর ইন্টারভিউের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরেও কেন তা প্রকাশ করা হল না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে।
পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু গত ৩০ জুন সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা জমা পড়ে হাই কোর্টে। তার ভিত্তিতেই ওই দিন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এই আইনি জটে পড়ে ১৪ হাজার ৩৩৯ পদে নিয়োগ আটকে গিয়েছে।
গত ২৯ জুন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু মামলাকারীদের অভিযোগ, ইন্টিরভিউয়ের তালিকা তৈরিতে বেনিয়ম হয়েছে। ন্যূনতম কত নম্বর পেলে ইন্টারভিউয়ে ডাক, তার কোনও উল্লেখই নেই সাইটে। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে না। বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাচ্ছেন না।’ তাতেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।