গত কয়েক দিনের টানাপড়েনের পর চ্যানেলগুলি ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে কেবল অপারেটর মহলেও। প্রতীকী ছবি।
আবারও কেবল টিভিতে ফিরে এল জনপ্রিয় সব চ্যানেলগুলি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধাপে ধাপে ফেরানো হয়েছে চ্যানেলগুলিকে। সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার ছ’দিনের মাথায় ফেরানো হল বিনোদন, ক্রীড়া ও সিনেমা বিষয়ক সব চ্যানেল। গত শনিবার থেকে আচমকাই জি টিভি, স্টার ও সোনির চ্যানেলগুলি বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে জিটিপিএল, ডেন ও হ্যাথওয়ের দর্শকরা এই চ্যানেলগুলি দেখতে পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। ফলে দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কেবল অপরেটাররা। গত কয়েক দিনের টানাপড়েনের পর চ্যানেলগুলি ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে কেবল অপারেটর মহলেও। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর তরফে টিভি দেখার মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে চ্যানেল পিছু বর্ধিত দাম দিতে রাজি হয়নি মাল্টি সিস্টেম অপারেটর (এমএসও)-দের একাংশ। তাই চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয় গত শনিবার দুপুর থেকে। অভিযোগ উঠেছিল, এমএসও এবং কেবল অপারেটরদের আগাম কিছু না জানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল চ্যানেলগুলি।
যে হেতু সরাসরি দর্শকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করেন স্থানীয় কেবল অপারেটররা, তাই প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তাঁরাই। টাকা মেটানোর পরও চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার কারণে দর্শকদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁদের। শনিবার চ্যানেলগুলি বন্ধ হওয়ার পর দিল্লিতে কেবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হয় ব্রডকাস্টার সংস্থাগুলির। সম্প্রতি হওয়া সেই বৈঠকে আপাতত সমস্যার জট খুলেছে বলে খবর। তার ভিত্তিতেই কেবল টিভিতে ফিরে এসেছে জনপ্রিয় সব চ্যানেলগুলি। তবে ট্রাইয়ের নির্ধারিত করে দেওয়া চ্যানেলগুলির মাশুল কমেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় কেবল অপরেটর সংগঠনগুলির কাছে। আইডিয়াল কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাপস দাস বলেন, “যে সমস্ত দর্শকেরা এই সময়ে আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের আমরা সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই। আগামী দিনে যাতে দর্শকদের এমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, আমরা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে চ্যানেলগুলির মাশুল কতটা কমেছে, তা দু-এক দিনের মধ্যেই আমরা জেনে যাব। আশা করি নতুন মাশুল ঠিক করার ক্ষেত্রে কেবল অপারেটরদের মতামত গুরুত্ব পাবে।” কেবল অপারেটরদের সংগঠন বিশ্ব বাংলা কেবল অপরেটার এবং এবিসিও-ও দর্শকদের ধৈর্য ধরার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
তবে আচমকা কেবল টিভিতে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেবল অপারেটরদের সংগঠনগুলি। দেশের আটটি হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছিল। কিন্তু চ্যানেলগুলি আবারও টিভির পর্দায় ফিরে আসার পর মামলাগুলি তুলে নেওয়া হবে না চালানো হবে, তা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন কেবল অপারেটরদের সংগঠনগুলি। আগামী কয়েক দিনের পরিস্থিতি দেখেই সেই মামলা তোলা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।