Group D

দ্রুত শুনানির আর্জি চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীদের, ৩ মার্চ শোনার আশ্বাস সুপ্রিম কোর্টের

বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুলের ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেয় আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৩
Share:

সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি জানালেন চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীদের একাংশ। ফাইল চিত্র।

মামলা দায়ের আগেই হয়েছিল। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন চাকরিচ্যুত ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীদের একাংশ। শুক্রবার তাঁদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মন শীর্ষ আদালতে এ বিষয়ে আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আশ্বাস দিয়েছেন যে, আগামী ৩ মার্চ মামলাটির শুনানি হতে পারে। তবে এই মামলার শুনানির জন্য এখনও কোনও বেঞ্চ নির্ধারিত হয়নি।

Advertisement

বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুলের ১৯১১ জন গ্ৰুপ-ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চাকরিচ্যুতরা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন বন্ধের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও, চাকরি বাতিলের উপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। আগামী ৩ মার্চ সেখানে মামলাটির আবার শুনানি হওয়ার কথা। কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দায়ের করেন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। সেখানে মামলাটি এখনও শুনানির জন্য ওঠেনি। শুক্রবার আইনজীবী পার্থদেব মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানান।

Advertisement

অন্য দিকে, শীর্ষ আদালতে চাকরিচ্যুতরা যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় মূল মামলাকারী লক্ষ্মী টুঙ্গার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আগেই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন। ক্যাভিয়েট দাখিলের অর্থ, মূল মামলকারীদের বক্তব্য না শুনে, শুধু চাকরিহারাদের বক্তব্য কিংবা অভিযোগ শুনে কোনও রায় দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement