এ বার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সমর্থন করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোজনরসিক বাঙালি পোস্ত খাওয়ার খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে দাবি করেন তিনি। এ বার মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবিকে সমর্থন করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দিলে আমরা পোস্ত চাষ করতে পারি না। ভারতের কেবলমাত্র চারটি রাজ্যে পোস্ত চাষ হয়। ওই চার রাজ্যে যে পরিমাণ পোস্ত উৎপাদন হয়, তা দেশের চাহিদা তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তাই চাহিদা মেটানোর জন্য বাইরে থেকে পোস্ত আমদানি করতে হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাংলার মানুষ অনেক বেশি পোস্ত ব্যবহার করেন। ৪২০০ মেট্রিক টন পোস্ত লাগে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। আমাদের রাজ্যে যখন পোস্তর এত চাহিদা, তখন আমাদের রাজ্যকে পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হোক।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২ মে প্রথম বার পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। দীর্ঘ চার বছর কেটে গিয়েছে। এ বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে আবারও এ বছর ৩ মার্চ রাজ্যের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকে। এই দু’টি চিঠি পাঠানো হয়েছে অর্থমন্ত্রকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ওই চিঠিটি পাঠিয়েছেন অর্থমন্ত্রকে। যে চার রাজ্যে পোস্ত চাষ হয়, সেখানেও তা হয় খুবই নিয়ন্ত্রিত ভাবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের অনুমতি দেওয়া হলে সেই চাষও করা হবে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ভাবে। আমাদের যে কৃষিভিত্তিক ফার্ম আছে, সেই সব জায়গায় নিয়ন্ত্রিত ভাবে পোস্ত চাষের বন্দোবস্ত করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হলে বাংলা যেমন তার নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারবে, সঙ্গে বিদেশ থেকে পোস্ত আমদানিও করতে হবে না। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কমবে না।’’