পৌষমেলা শেষ হলেও পূর্বপল্লিতে এসডিপিও বাংলোর সামনের মাঠে চলছে কাঠের মেলা। এসেছে লোহার খাটও। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
পৌষমেলায় দূষণবিধি যথাযথ ভাবে না-মানায় পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা কেন ধার্য করা হবে না, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে তার লিখিত ব্যাখ্যা চাইল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মঙ্গলবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এমনই নোটিস পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘এমন কোনও চিঠি আমরা হাতে পাইনি। পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা বলা সম্ভব হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌষমেলায় দূষণ বিধি মেনে চলা নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দিল্লির প্রিন্সিপ্যাল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, এ ব্যাপারে ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় মুখ্যসচিবের কনফারেন্স রুমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করে নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করেছিলেন মুখ্যসচিব। ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌষমেলা আয়োজনে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারকে বলে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সেটা পুরোপুরি মানা হয়নি।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর পৌষমেলা পরিদর্শনের পরে যে ত্রুটিগুলি চিহ্নিত হয়েছে সেগুলি হল— এক, মেলা প্রাঙ্গণে খাবারের স্টলের একাধিক দোকানে কয়লার উনুন জ্বলেছে। দুই, পর্যাপ্ত শৌচালয় ছিল না। যেগুলি ছিল সেগুলি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, অপরিস্কার। এমনকি কিছু শৌচাগারে জলের জোগানও ছিল না। তিন, মেলার স্টলে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না।
পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মেলায় দূষণ বিধি যথাযথ না মানায় শো-কজ করেছে। কিন্তু, গোটা বিশ্বভারতীতে উপযুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না-থাকায় নিয়মিত দূষণ ছড়াচ্ছে। সেটা নিয়েও যে মামলা হয়েছে তাতে কর্তৃপক্ষ সতর্ক না হলে আরও বড় খেসারত দিতে হবে।’’