শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’ দিবসেও নন্দীগ্রামের ‘শহিদ স্মরণ’ মঞ্চে বড় হয়ে দেখা দিল দুর্নীতি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন শহিদ দিবসগুলিতে পৃথক কর্মসূচি নেয়। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর জমিরক্ষা আন্দোলন পর্বে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা, খুন, দেহ পাচারের মতো অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন শাসক দল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র ব্যানারে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করছে তৃণমূল। ২০২০ সাল থেকে শুভেন্দুর নেতৃত্বে গেরুয়া শিবিরও এই দিনটি পালন করে। এ দিন পিঠোপিঠি দুই কর্মসূচিতে বাগযুদ্ধ চলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মধ্যে। সকালের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু দাবি করেন, ২০২৪-এর ১০ নভেম্বর যখন ‘শহিদ দিবস’ হবে, তখন ‘চোরমুক্ত বাংলা’ দেখবেন রাজ্যবাসী। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচির পরে কিছু পরিযায়ী আসবেন। যাঁরা চাকরি চুরি করে, কয়লা খেয়ে, বালি খেয়ে গরু পাচার করেছেন। যে শহিদ বেদিতে ওঁরা মাল্যদান করতে আসবেন, সেটা কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তৈরি করেছে।’’ পরের অনুষ্ঠানে এসে কুণাল পাল্টা বলেন, ‘‘চোরের মায়ের বড় গলা! ২০২৪ সালে সরকার বদল হলে এই শুভেন্দুই ইডি-র হাতে গ্রেফতার হবেন।’’ শুভেন্দুর নেতৃত্বে শহিদ স্মরণের পৃথক কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং পূর্ণেন্দু বসু। তাঁরা বলেন, ‘‘ওঁরা যেটা করছেন, সেটা শহিদ তর্পণ নয়। ওঁরা শহিদের
ভাগাভাগি করছেন।’’