নিজস্ব চিত্র।
রাতভর অবস্থানের পর শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থেকে টেট-উত্তীর্ণদের ধরনা তুলে দিল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সরে যেতে প্রথমে অনুরোধ করা হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান টেট-উত্তীর্ণরা। শেষমেশ দুপুর ১২টার সময় টেনেহিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হল। নিয়োগের দাবিতে অবিলম্বে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করার জন্য শুক্রবার থেকে রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন টেট-উত্তীর্ণরা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘টেট-উত্তীর্ণরা লিখিত বক্তব্য জমা দিন। কেন পরিস্থিতি জটিলের চেষ্টা করছেন? অনভিপ্রত ভাবে পরিস্থিতি জটিল করার কোনও মানে নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটু সময় দিন। জট খোলার চেষ্টা হচ্ছে। অভিষেক আন্তরিকতার সঙ্গে জট খোলার চেষ্টা করছেন।’’ বিরোধীদের নিশানা করে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কুণাল বলেন, ‘‘সকলকে অনুরোধ করব, অন্য দলগুলির কথায় প্ররোচিত হবেন না। আমাদের চাকরি দেওয়াটাও তৃণমূলের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।’’
শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের মতো তাঁদের সঙ্গেও দেখা করতে হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। যদিও আগামী সপ্তাহে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাস দিয়েছে অভিষেকের দফতর। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে অবিলম্বে দেখা করতে হবেঅভিষেককে।
শনিবার সকালে অভিষেকের দফতরের সামনে টেট-উত্তীর্ণদের ভিড় বাড়তে থাকে। অভিষেকের সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত এ ভাবেই বসে থাকবেন বলেও জানান তাঁরা। এক আন্দোলনকারী বলেন,‘‘অভিষেকবাবুর সঙ্গে আমরা দেখা করেই এখান থেকে উঠব। আমরা টেট পাশ করেছি, ট্রেনিংপ্রাপ্ত। তবে আজ সাত বছর হল আমাদের চাকরি হয়নি।’’ আরও এক জন বলেন, ‘‘আমরা কেন চাকরি পাচ্ছি না? ২০১৪ সালে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি। তার পর ইন্টারভিউও হয়েছে, তা-ও চাকরি হয়নি? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানাব।’’
শুক্রবার এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সে সময়ই অভিষেকের অফিসের বাইরে টেট-উত্তীর্ণদের জড়ো হতে দেখা যায়।