সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ। দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাওয়া সেই প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ভোজেরঘাট এলাকায় আটকে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশ পরে অবশ্য সুকান্তকে যেতে দেয়। কিন্তু সন্দেশখালি থানার সামনে বিজেপি নেতার অবস্থান বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি আবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সুকান্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর শুক্রবার লকেটদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দিল পুলিশ।
লকেটের অভিযোগ, পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। দ্বীপ এলাকা থেকে অনেকটা দূরে ভোজেরঘাট এলাকাতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। বাধার মুখে পড়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ। পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এক জন জন প্রতিনিধিকে আপনারা এ ভাবে বাধা দিতে পারেন না!’’
লকেটরা যে সময় বাধা পেলেন, ঘটনাচক্রে সেই সময়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। কমিশনের ছয় সদস্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁরা মূলত কথা বলছেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে।
এ সবের মধ্যেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালির কাছারি এলাকা। সেখানে শাহাজাহান শেখের এক অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীরা।