Duttapukur Blast

বাজিগরের মতোই ‘অদৃশ্য’ বাজি কারখানা! দত্তপুকুরে ন’জনের প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ

দত্তপুকুরের ঘটনায় তৎপর পুলিশ। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে দত্তপুকুরের আইসি এবং নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দত্তপুকুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ২২:৪৩
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার চার মাসের মধ্যে আবারও এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ গেল রাজ্যে। এ বার ঘটনাস্থল কলকাতার অদূরে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুরে। এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। এগরার ঘটনার পর বেআইনি বাজির কারবার বন্ধে পদক্ষেপ করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে বিস্ফোরণে কাঁপল দত্তপুকুরের মোচপোল? এ নিয়ে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। রবিবার বিস্ফোরণের দিন সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কালীঘাটে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিস্ফোরণের পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ মহল। রবিবার রাতেই নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দত্তপুকুরের আইসি শুভব্রত ঘোষ এবং নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দত্তপুকুরের নতুন আইসি করা হয়েছে সুজিত পতিকে। সোমবার বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এবং এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধনাথ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাজি বানানো হচ্ছিল, বাকি তদন্ত চলছে।’’ দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের এক কিলোমিটারের মধ্যে খোঁজ মিলল আরও একটি অবৈধ ‘বাজি’ কারখানার।

Advertisement

অন্য দিকে, দত্তপুকুরের মোচপোলে বিস্ফোরণের অভিঘাতের আঁচ এসে পড়ল রাজনীতির ময়দানেও। শাসক-বিরোধী চাপানউতরে দিনভর সরগরম রইল সোমবারের বাংলা। ঘটনাস্থলে যান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ধ্বংসস্তূপের চেহারা দেখে তাঁর মনে হয়েছে ওই বাড়িতে আরডিএক্স মজুত করে রাখা হয়েছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

আইসি-ওসি সাসপেন্ড

Advertisement

দত্তপুকুরের ঘটনায় পদক্ষেপ করল প্রশাসন। সোমবার দত্তপুকুরের আইসি শুভব্রতকে সাসপেন্ড করা হল। সাসপেন্ড করা হয়েছে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রিকেও। দত্তপুকুরের আইসি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুজিত। রবিবার সকালে বারাসতের কাছে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা। তার পরেই পুলিশের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে শফিক আলি ওরফে সফিকুল ইসলাম নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। বার বার এমন বিস্ফোরণ কেন হচ্ছে, প্রশাসন কেন সতর্ক হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে বৈঠকে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বৈঠকে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত মে মাসে এগরায় বিস্ফোরণের পরেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই ছয় দফা পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তার চার মাসের মধ্যেই কেন আবার এমন দুর্ঘটনা, তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা। জানা গিয়েছে, যে কোনও ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মমতা। এর পরেই রাজ্য পুলিশ দু’জনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ডিজির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মমতা ওই বৈঠকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন রাজ্য পুলিশের প্রধানকে। এমনকি, রাজ্যে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি।

মমতার বার্তা

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কেন ‘নীরব’— এ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোমবার মমতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে বলেন, ‘‘সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’’ তবে দত্তপুকুর নিয়ে কিছু বলেননি।

অভিযুক্ত আইএসএফের নেতা

দত্তপুকুরের ঘটনায় নাম জড়াল আইএসএফ (ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট)-এর। সোমবার বিস্ফোরণস্থলে যান বারাসত পুলিশ জেলার সুপার। ভাস্কর বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত কালই তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে চার জনের নাম রয়েছে। কেরামত আলি, রবিউল আলি, শামসুল আলি মৃত। বাকি এক জন রমজান আলি পলাতক। অন্য জেলা থেকে যাঁরা বাজি তৈরির কাজের জন্য আসতেন, তাঁরা রমজানের বাড়িতেই থাকতেন। শামসুলের বাড়িতে মজুত রাখা হত বাজি।’’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘‘গত আড়াই-তিন মাসের মধ্যে এই এলাকায় অনেক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পরেও এই ঘটনা ঘটেছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।’’ এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধনাথ গুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাজি বানানো হচ্ছিল, বাকি তদন্ত চলছে।’’

দত্তপুকুরে এনআইএ

বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। একই দাবি জানিয়েছে আইএসএফ। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন এনআইএর দুই আধিকারিক।

বিধানসভায় উত্তেজনা

দত্তপুকুরের ঘটনার আঁচ ছড়াল বিধানসভায়। বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে কেন যাননি মুখ্যমন্ত্রী— এই প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ থেকে এসে রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?’’ সোমবার এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চেয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার কক্ষত্যাগও করেন বিরোধীরা। বিধানসভায় বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন দত্তপুকুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের তরফে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জবাব না-পেয়ে বিধানসভা মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরে বিধানসভা মুলতুবি হলেও বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা আশা করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী এসে এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জানাবেন বিধানসভায়। উনি প্রথমার্ধে আসেননি। হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে আসবেন উৎসবে যোগ দিতে। আমরা এই নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর উচিত এই ঘটনার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’’

হাই কোর্টে জোড়া মামলা

বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিজেপি। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী দু’টি মামলা করেন। পুরো ঘটনায় সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের আবেদনও করেছেন মামলাকারীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। বিস্ফোরণের পর থেকেই এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। শাসকশিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করলেন তিনি। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে তিনি এই মামলা দায়ের করলেন। এই ঘটনা নিয়ে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি।

বাজি কারখানার হদিস

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের এক কিলোমিটারের মধ্যে খোঁজ মিলল আরও একটি অবৈধ ‘বাজি’ কারখানার। অভিযোগ, মোচপোল গ্রামের এক কিলোমিটারের মধ্যে বেরুনান পাকুড়িয়া গ্রামের এই কারখানায় ইটভাটার আড়ালে রমরমিয়ে বাজি তৈরি করা হত। দামি দামি যন্ত্র দিয়ে মেশানো হত বাজির মশলা। স্থানীয়দের দাবি, এই কারখানায় যাঁরা কাজ করতেন তাঁদের বেশির ভাগই মুর্শিদাবাদের শ্রমিক। বাইরে থেকে গাড়ি করে বাজি তৈরির জন্য আনা হত তাঁদের। শ্রমিকেরা স্থানীয় মেসে ভাড়া থাকলেও তাঁরা কেউ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন না বলেও দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু এই কারখানার মালিক কে, সে সম্পর্কে অবহিত নন স্থানীয়েরা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মালিকের বাড়ি পাশেরই এক গ্রামে। আবার অন্য এক অংশের দাবি, শ্রমিকদের মতো মালিকের বাড়িও মুর্শিদাবাদে।স্থানীয়দের দাবি, রবিবারের দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডের পর থেকেই এই কারখানার শ্রমিকেরা ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছেন। রাতারাতি কারখানা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ইটভাটার আড়ালে অবৈধ ‘বাজি’ তৈরির কারখানার খবর পেয়ে সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা এই কারখানার একাংশে ভাঙচুর চালান।

বাজির সাম্রাজ্য

দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলের পিছনের বাঁশবাগানে ধরা পড়ল বাজির ‘সাম্রাজ্যের’ ছবি। ত্রিপল বিছিয়ে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে সেখানে। পড়ে রয়েছে ছোট ছোট পাথরের টুকরো (স্টোনচিপ্‌স), বাজির গুঁড়োমশলা, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার। এ সবই বাজি তৈরিতে কাজে লাগে। সামান্য আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে উঠতে পারে দাউদাউ করে। সোমবার এই বাগানে আসে ফরেন্সিক দল। নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক দলের আধিকারিকরা। বাঁশবাগানের ত্রিপলের ছাউনিগুলিতে কোথাও রয়েছে শুধুই বাজির মশলা। কোথাও আবার অর্ধেক তৈরি ‘আলু বোম’ রাখা আছে স্তূপ করে। ছোট ছোট সেই ‘আলু বোম’ কালীপুজোর সময় শহরাঞ্চলেও বেশ জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে দেওয়ালে বা মেঝেতে ছুড়ে মারলেই বোম ফেটে ওঠে। ছোটরা অনেকে এই বাজি পছন্দ করে। দত্তপুকুরের মোচপোলে বিস্ফোরণস্থলের পিছন দিকের বাঁশবাগানে সেই ‘আলু বোমে’র ছড়াছড়ি। রয়েছে তার বাইরের কাগজের মোড়কটিও। মশলা আর মোড়কের পাশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারও রেখেছেন কেউ। এই ছোট ‘আলু বোম’ই বড় আকারে তৈরি করলে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ অসম্ভব নয়। বাজির আড়ালে বোমা তৈরি করা হত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্মীদের জামাকাপড়, জুতো এখনও পড়ে আছে মশলার স্তূপের পাশেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement