দত্তপুকুরকাণ্ডে আইসিকে সাসপেন্ড করা হল। —নিজস্ব চিত্র।
নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসির পর বিস্ফোরণের ঘটনায় দত্তপুকুরের আইসি শুভব্রত ঘোষকে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকেও। রবিবার সকালে বারাসতের কাছে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ‘ক্ষোভপ্রকাশ’ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই পুলিশের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল।
রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মমতা ওই বৈঠকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধানকে। এমনকি, এগরার পর আবার রাজ্যে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনায় রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘‘এফআইআরে চার জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেরামত আলি, রবিউল আলি, শামসুল আলি মৃত। বাকি এক জন রমজান আলিকে আমরা খুঁজছি। তিনি আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা।’’ যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বক্তব্যের ভিত্তিতে আইএসএফের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, সোমবার ঘটনাস্থলে যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন দুই আধিকারিক।