রাজিয়ার কাছে মেলা টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধন্দ

বিস্ফোরণের তদন্তভার গিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে। ঘটনাস্থলে মেলা যাবতীয় জিনিসপত্রও এখন তাদের হেফাজতে। কিন্তু, খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃত রাজিয়া বিবির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৪ হাজার টাকা রয়ে গিয়েছে বর্ধমান জেলা পুলিশের কাছে। সেই টাকার ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে এখন ধন্দে পড়েছে পুলিশ।

Advertisement

রানা সেনগুপ্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪৮
Share:

বিস্ফোরণের তদন্তভার গিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) হাতে। ঘটনাস্থলে মেলা যাবতীয় জিনিসপত্রও এখন তাদের হেফাজতে। কিন্তু, খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃত রাজিয়া বিবির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৪ হাজার টাকা রয়ে গিয়েছে বর্ধমান জেলা পুলিশের কাছে। সেই টাকার ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে এখন ধন্দে পড়েছে পুলিশ।

Advertisement

২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে ওই ঘটনার পরে নিহত শাকিল আহমেদের স্ত্রী রাজিয়া ও আহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী আলিমা বিবিকে বর্ধমান মহিলা থানায় পাঠায় পুলিশ। সেখানে তল্লাশির সময়েই রাজিয়ার পোশাকের মধ্যে লুকোনো ওই টাকা মেলে। সামান্য কিছু গয়নাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে রাজিয়া ও আলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এনআইএ তদন্তে নামার পরে এই টাকার কথা তাদের জানানো হয়। দিন কয়েক আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসারেরা বর্ধমানে এসে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে করেন। তাঁদেরও এই টাকার কথা জানানো হয়। কোন টাকার কতগুলি করে নোট রয়েছে, সেগুলির নম্বরএ সব তথ্য সংগ্রহ করে ইডি। কিন্তু জেলা পুলিশের দাবি, তার পর থেকে না এনআইএ, না ইডিকেউ টাকার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তা পড়ে রয়েছে বর্ধমান থানাতেই।

বর্ধমান থানার এক আধিকারিক বলেন, “এই টাকার ব্যাপারে আমরা বারবার এনআইএ-কে জানিয়েছি। কিন্তু তারা তা এখনও চোখেই দেখেনি। ফলে, আমরা এই টাকা নিয়ে কী করব, ধন্দে পড়েছি।” তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, ধৃতকে লক-আপে রাখার সময়ে তাঁর জিনিসপত্র বা টাকা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে জমা রাখে পুলিশ। পরে অভিযুক্ত জামিন বা বেকসুর খালাস পেলে আদালতের নির্দেশ মতো সে সব জিনিস ফেরত পান। কিন্তু, তিনি তা নিতে না এলে সরকারের সম্পত্তি হিসেবে টাকা জমা পড়ে ট্রেজারিতে।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে কী হবে? বর্ধমানের এসপির বক্তব্য, “এনআইএ ওই টাকা হেফাজতে নেবে বলে জানিয়েছে।” যদিও এনআইএ-র ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার সোমবার বলেন, “ওই টাকা আমরা নেব কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ উপরমহল থেকে পাইনি। নির্দেশ এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement