কামড় কাণ্ডে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বয়ান নথিভুক্ত করল পুলিশ। ফাইল চিত্র।
স্কুলে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভকারী কর্মপ্রার্থীদের মোকাবিলা করার সময় তাঁকেই আগে কামড়ানো হয়েছিল বলে এক মহিলা প্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার ঘটনার পরে পরেই প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা পুলিশ কনস্টেবল। কলকাতার রাস্তায় আন্দোলনকারী এক মহিলাকে কামড়ে দেওয়ার সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। প্রশ্ন ওঠে, ব্যাপারটা কামড়ের বদলে কামড় কি না? বিরোধী রাজনৈতিক শিবির-সহ সর্বস্তরে পুলিশি আচরণের তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ার পরে এক পুলিশকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে, মঙ্গলবার সেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন দক্ষিণ ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। পরে এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, এ দিন ওই কনস্টেবলের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।
৯ নভেম্বর, ঘটনার দিন অকুস্থলে থাকা অন্য দুই মহিলা পুলিশকর্মীকেও এ দিন ডেকে তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। আহত অভিযোগকারিণী চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের সঙ্গেও কথা বলেছেন ডিসি (সাউথ)।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা গত বুধবার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। অভিযোগ, তাঁদের প্রিজ়ন ভ্যানে তোলার সময় জোরদার ধস্তাধস্তির মধ্যেই এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবল অরুণিমার হাতে কামড়ে দেন। অরুণিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে পুলিশ অন্য কয়েক জন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে তাঁরা ছাড়া পান। পুলিশ জানিয়েছিল, সেই ঘটনার পরে অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে ছাড়া পান। তার পরে পুলিশি তদন্তের অঙ্গ হিসেবে এ দিন তাঁর সঙ্গে কথা বলে সেই বয়ান নথিভুক্তকরা হয়েছে।