তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং সন্দেশখালিতে ইডির ভাঙচুর হওয়া গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ইডির তিন আধিকারিককে। মাথা ফাটে এক জনের। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ইডির হানার পর তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে খোয়া গিয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। গত ৫ জানুয়ারি ন্যাজাট থানায় ইডির বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের পাতার ৯ নম্বর কলামে ‘পার্টিকুলার্স অফ প্রোপার্টি স্টোলেন’-এর পাশে লেখা হয়েছে, ‘‘আনুমানিক ১,৩৫,০০০ টাকার সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্র এবং মূল্যবান জিনিস।’’ এ ছাড়াও ৭ নম্বর কলামে অভিযুক্তের জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েক জন অচেনা ব্যক্তি, যাঁরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এখানেই শেষ নয়, পুলিশের একটি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ওই এফআইআরে এক মহিলার শ্লীলতাহানি, অনুপ্রবেশ এবং ভয় দেখানোর মতো অভিযোগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি করেছিলেন জনৈক দিদার বক্স মোল্লা। যিনি শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকর বলে অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন। এ ছাড়াও সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির বিরুদ্ধে আরও দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। অন্য দিকে, শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের নাম মেহবুব মোল্লা এবং সুকমল সর্দার।
উল্লেখ্য, রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। তারা তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকতে গেলে আক্রমণ শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার অনুগামীদের রোষের শিকার হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। কোনও ক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। এর পর তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তৃণমূল নেতা এখনও ‘নিখোঁজ’। ঘটনাক্রমে ইডি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছে। কেন ‘আক্রান্ত’ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর হল এই অভিযোগ করেছে তারা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছে এবং পুলিশকে বলা হয়েছে কেস ডায়েরির একটি কপি দিতে। আগামী ২২ জানুয়ারি রয়েছে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি।