ভারতীদের নামে মামলা খুনের চেষ্টার

ধৃতদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতদের ১৬ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিজেপির পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে সোমবার ধুন্ধুমার বেধেছিল মেদিনীপুরে। আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় ৭৩ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, দলের নেত্রী তথা জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও। খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কাজে বাধা -সহ মোট ১১টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ভারতীদের বিরুদ্ধে বলে পুলিশেরই এক সূত্রে খবর।

Advertisement

ওই ৭৩ জনের মধ্যে ৩২ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে সোমবার রাতে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতদের ১৬ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক সঙ্গে বিজেপির ৭৩ জন নেতা-কর্মীর নামে পুলিশ মামলা রুজু করায় মেদিনীপুরে শোরগোল পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ আক্রান্ত হয়েছিল। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

সায়ন্তন, ভারতী ছাড়াও বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি শমিত দাশ, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়, দলের জেলা সম্পাদক অরূপ দাস, যুবমোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিকদের নাম রয়েছে অভিযোগে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের নামের তালিকায় এক নম্বরে নাম রয়েছে শমিতের, দু’নম্বরে ভারতীর, তিন নম্বরে সায়ন্তনের। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে গুন্ডামি করেছিল বিজেপি।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ পাল্টা বলেন, ‘‘পুলিশ মিথ্যা মামলা করেছে। এ ভাবে আটকানো যাবে না।’’

Advertisement

সোমবার মেদিনীপুরে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই কর্মসূচি ঘিরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শহর। পুলিশের দাবি, বিজেপির জমায়েত থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি করা হয়েছে। ৯ জন পুলিশ অফিসার-কর্মী জখম হন। বিজেপির পাল্টা দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। স্টান গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। পুলিশের মারে দলের ৫৪ জন কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশও স্বীকার করেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement