এখনও গ্রেফতার হননি নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত টিএমসিপির কাঁথি শহর সভাপতি শুভদীপ গিরি। প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ দায়েরের পরে তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। হাই কোর্টের ভর্ৎসনার পরেও এক সপ্তাহ হতে চলল। অথচ এখনও গ্রেফতার হননি নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত টিএমসিপির কাঁথি শহর সভাপতি শুভদীপ গিরি। উল্টে অভিযুক্তের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি।
নির্যাতিতার বাড়ির সামনে এখন এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কনস্টেবল নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তা সত্ত্বেও অভিযুক্তের তরফে মোবাইলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি রয়েছেন তাঁরা। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ‘‘রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত নানা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। কখনও গাড়ির তলায় পিষে মারার হুমকি দেয়। কখনও বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার কিংবা মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।’’ সব শুনে বাড়ির সামনে পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীরা মোবাইল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বলে জানাচ্ছেন তিনি।
আজ, মঙ্গলবার হাই কোর্টে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, ‘‘মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনা লিখিত ভাবে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। আজ হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’ আর নির্যাতিতার বাবা বলছেন, ‘‘রাজ্য পুলিশে ভরসা রাখতে পারছি না। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ গোটা ঘটনায় চুপ পুলিশ। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথকে এ দিন বারংবার ফোন করা হলেও ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেখলেও দেননি উত্তর।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন ধরা হচ্ছে না অভিযুক্ত নেতাকে? একাংশের দাবি, মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে শুভদীপের ঘনিষ্ঠতাই তাঁর তুরুপের তাস। এখনও তিনি শাসক দলের ঘেরাটোপে সুরক্ষিত আছেন বলেই দাবি। যদিও সুপ্রকাশের বক্তব্য, ‘‘হাই কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই জানে। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’