এ ভাবেই অতিরিক্ত মাল নিয়ে ট্রাক, ডাম্পার যাতায়াত করছে বিভিন্ন রাস্তায়। -নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে দুর্ঘটনার পরেও শিক্ষা নেয়নি শিল্পাঞ্চল। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মত আসানসোলেও অতিরিক্ত মাল নিয়ে ট্রাক, ডাম্পার যাতায়াত করছে বিভিন্ন রাস্তায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাতে একদিকে যেমন রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে, অন্য দিকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
কয়েকদিন আগেই যেমন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রিয়ার কাছে দুর্ঘটনায় ২ বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় সমস্ত রাস্তাতেই অতিরিক্ত মাল বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। আসানসোলের নিয়ামতপুর- চিত্তরঞ্জন রোড, আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণি, জামুরিয়া-রানিগঞ্জের বেশ কয়েকটি রাস্তা, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ অন্যান্য রাস্তাতেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় ট্রাক-ডাম্পার চলাচলের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়ানো যাচ্ছে না।
দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সালানপুরের সবনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোতোষ মুখোপাধ্যায় এবং কাজল গড়াই জানান, তাঁরা বহু বার আন্দোলন করেছেন এ নিয়ে। তাতে কিছু দিন মাল বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকে তারপর ফের চলাচল শুরু হয়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, এতে প্রশাসনেরও যোগসাজশ রয়েছে।
ডিসি ট্রাফিক আনন্দ রায় ছুটিতে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এসিপি ট্রাফিক কৈলাসপতি মাহাত জানান, পুলিশ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকেও অভিযান চালানো হয়।