গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
জয়নগরকাণ্ডে মৃতার বাবার দুই আবেদন নিয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য পুলিশ। শনিবার রাতেই উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো রবিবার দুপুর ২টোয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর আদালত সূত্রে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বাবা আবেদন করেছেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই যাতে মেয়ের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি কোনও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করার আবেদনও করেছেন তিনি। এই দুই আবেদন নিয়ে প্রথম নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ। নিম্ন আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে শনিবার গভীর রাতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ।
ন’বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর অগ্নিগর্ভ ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। তার পর শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিবার ও গ্রামবাসীদের দাবি, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রথমে পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল না। পুলিশ যদি প্রথমেই তৎপর হত, তা হলে নাবালিকার এই পরিণতি হত না। পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ মানেনি। এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে তারা। সন্ধ্যায় কলকাতার মোমিনপুরের কাটাপুকুর মর্গে নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপিও মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার সময় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে স্লোগান দেন দীপ্সিতা ধরেরা। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় তাঁদের। শনিবার মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি, রবিবার তা হওয়ার কথা রয়েছে।