বিধানসভা নির্বাচনের গণনার দিন (২ মে) কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। —ফাইল চিত্র।
আট জন ধরা পড়লেও বাকি বারো জন অভিযুক্ত এখনও ফেরার। ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তে নেমে কলকাতার কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় সেই পলাতক অভিযুক্তদের খুঁজতে এ বার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে হুলিয়া জারি করল সিবিআই। সেই সঙ্গে তারা জানায়, নির্বাচনোত্তর হিংসায় কোচবিহারে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের গণনার দিন (২ মে) কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎকে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। আঙুল ওঠে তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে। ২০ জনের নামে অভিযোগ করা হয়। নারকেলডাঙা থানা আট জনকে গ্রেফতার করেছিল। ১২ জনের খোঁজ নেই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পরে তদন্তে নামে সিবিআই।
খুনের অভিযোগে ধৃত আট জনের বিরুদ্ধে সিবিআই কয়েক মাস আগে শিয়ালদহ অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চার্জশিট পেশ করেছে। ১২ জন অভিযুক্ত পলাতক বলে দেখানো হয় চার্জশিটে। পরে পলাতকদের বাড়িতে নোটিস লটকে দিয়ে জানানো হয়, আদালতে আত্মসমর্পণ না-করলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সিবিআই সূত্রের খবর, পলাতকেরা নারকেলডাঙা থানার শীতলাতলা লেন, মানিকতলা মেন রোড, গিরিশ বিদ্যারত্ন লেন এবং জয়নারায়ণ তর্ক লেন এলাকার বাসিন্দা। এ দিন ওই এলাকায় তাঁদের ছবি-সহ নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিসে জানানো হয়েছে, পলাতকদের বিষয়ে ঠিক ও নির্দিষ্ট খোঁজ দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যিনি খোঁজ দেবেন, গোপন রাখা হবে তাঁর পরিচয়। নোটিসে সিবিআই দফতরের টেলিফোন নম্বর এবং একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটি ই-মেল আইডি-ও।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জানান, স্থানীয় ব্যাঙ্ক, ডাকঘরে ফেরার অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্ট আছে। তাঁদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা তো বটেই, ওই সব ব্যাঙ্ক, ডাকঘরেও নোটিস ঝোলানোর ব্যবস্থা হয়েছে।